ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫ , ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভোগান্তিতে রোগী-স্বজনরা

​রামেক হাসপাতালে হাঁটুপানি

স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় : ১৫-০৭-২০২৫ ০৩:৩২:২০ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ১৫-০৭-২০২৫ ০৩:৩২:২০ অপরাহ্ন
​রামেক হাসপাতালে হাঁটুপানি সংবাদচিত্র: সংগৃহীত
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের বহির্বিভাগে বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টার বৃষ্টিতে হাসপাতালের প্রধান ফটক ও জরুরি বিভাগে জমেছে পানি। মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) দুপুর একটার দিকে এমন চিত্র দেখা যায়। এসময় চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনদের পড়তে হয় মারাত্মক ভোগান্তিতে।রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, রাজশাহীতে গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৯০ মিলিমিটার। আগামী আরও দুই একদিন বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সোমবার রাত থেকে আজ দুপুর পর্যন্ত কয়েক দফা বৃষ্টির পর হাসপাতালের বহির্বিভাগের সামনে এবং গেটের আশপাশে প্রায় হাঁটুপানি জমেছে। এতে অনেকেই ভিজে রোগী নিয়ে হাসপাতালে ঢুকছেন। হুইল চেয়ার ও স্ট্রেচারে থাকা রোগীদের বৃষ্টির মধ্যে পানি ঠেলে বহির্বিভাগে প্রবেশ করতে দেখা যায়।চঁাপাইনবাবগঞ্জ থেকে আসা রোগীর স্বজন আমিরুল ইসলাম জানান, সকাল থেকে অপেক্ষা করে দুপুরের দিকে সিরিয়াল পাই। কিন্তু তখন পুরো চত্বর পানিতে তলিয়ে যায়। একদিকে রোগীকে নিয়ে দুশ্চিন্তা, তার ওপর পানি ও কাদার মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে। রাস্তাটা উঁচু করলে আর ড্রেন ঠিক থাকলে এমন হতো না।

এসময় দেখা যায়, অনেক নারী ও শিশু ভিজে ভেতরে ঢুকছে। অনেকে আবার জুতা খুলে কাদা পানি ঠেলেই এগিয়ে যাচ্ছে। পানি নিষ্কাশনের জন্য কোনো ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই এমন পরিস্থিতি হয় বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা।নগরীর মেহেরচন্ডী থেকে ডাক্তার দেখাতে এসেছেন নাসিমা বেগম। তিনি বলেন, সকালে ডাক্তারের কাছে ভিজে ভিজে গেছি। এখান আবার বের হয়েও দেখি পানি। দ্রুত পানি নামানোর ব্যবস্থা করা দরকার। না হলে বর্ষা জুড়েই রোগী ও স্বজনদের এই ভোগান্তি পোহাতে হবে।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফএম শামীম আহম্মেদের ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তার পিএ ফোন রিসিভ করে বলেন স্যার মিটিংয়ে আছেন। এদিকে বৃষ্টির ফলে রাজশাহীর বিভিন্ন সড়ক ও গলিপথে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। নগরীর সাহেব বাজার, উপশহর, নিউ মার্কেট, বিসিক শিল্প এলাকাসহ বেশ কিছু এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। নগরীর সাহেব বাজারের বাসিন্দা সিহাব উদ্দিন বলেন, একটু পানি হলেই রাজশাহীর প্রাধান এই সড়ক ডুবে যায়। এটির কোনো স্থায়ী সমাধান হয় না। আমাদের প্রতিবছরই এখানে ভোগান্তি পোহাতে হয়।

সিটি করপোরেশনের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ মো. মামুন ডলার বলেন, রাজশাহী শহরে যেটাকে জলাবদ্ধতা বলে আসলে সেটি জলাবদ্ধতা নয়। ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টার মধ্যেই সব পানি নেমে যায়। মূলত কনস্ট্রাকশনের কাজের কারণে এটি হয়। বৃষ্টি হলে আমাদের লোকজন মাঠে নেমে যায়। রাজশাহী মেডিকেল কলেজের সামনে যেটি হয়েছে, এখানে ভ্যানে বিভিন্ন পণ্য বেচাকেনা হয়। তারা ড্রেন বন্ধ করে দেয়। এ কারণে এটি হচ্ছে, সেটাও থাকবে না। আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সচেতন না হলে একটু সময় না দিলে পানি নামবে না।

এদিকে রাজশাহী আবহাওয়া অফিস বলছে, আগামী দুই থেকে তিন দিন ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে রাজশাহীতে। রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রহিদুল ইসলাম বলেন, সাগরে নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়েছে। যে কারণে বৃষ্টি হচ্ছে। আজও ৯০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। আগামী দুই একদিন বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে।

বাংলাস্কুপ/ প্রতিনিধি/ এনআইএন


প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স


এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ